Tuesday, August 25, 2020

জাপানে আবেদন শুরু ও সকল কার্যক্রম চালু

ইসনাতারা  ইফা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব । মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়েছে। পৃথিবী স্তব্ধ ! হতাশা, চাকরি হারা , অনিশ্চয়তা জীবন-জাপন যেন কাটছেই না। 

তারপরেও স্বপ্ন দেখে, ঘুরে দাঁড়াতে । নিজের কাজের সন্ধান মিলাতে ছুটে যায়, নানান জাগায়। সঠিক তথ্যের অভাবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পিছিয়ে যায় হাজারো তরুণ। 

অনেকেই শুনেছে জাপানে কাজের সুযোগ হয়েছে । কিন্তু অনেকেই জানে না, কীভাবে শুরু করবে? কোথায় গেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে ? 



২০১৯ সালে জাপানের সাথে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।২০১৫ সালে জাপানে শ্রমের চাহিদা পূরণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের কঠোর অভিবাসন নীতি শিথিল করে পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করা হয়। যেখানে বলা হয় যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক নেয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেয়ার চুক্তি সই হয় দু'দেশের সরকারের মধ্যে।প্রবাসী কল্যাণ ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, নতুন এই চুক্তির আওতায় দক্ষ শ্রমিক হিসেবে জাপানে যেতে হলে কোন ধরণের অর্থ খরচ করতে হবে না। 

তবে অনুমোদিত সংস্থাগুলো থেকে জাপানি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে কিছু পরিমাণ ফি দিতে হবে। 

মোট ১৪টি খাতে লোক নেবে জাপান। 

এই ১৪ খাত হলোঃ 

১।নার্সিং কেয়ার, 

২। রেস্টুরেন্ট, 

৩।কনস্ট্রাকশন 

৪।বিল্ডিং কিলিনিং। 

৫।কৃষি, খাবার ও পানীয় শিল্প, 

৬।সেবা খাত, 

৭।ম্যাটারিয়ালস প্রসেসিং 

৮।ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি 

৯।ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি। 

১০।জাহাজ নির্মাণ শিল্প 

১১।মৎস্য শিল্প। 

১২।অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ তৈরি শিল্প 

১৩।এয়ারপোর্ট গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং 

১৪।এয়ারক্রাফট মেনটেইনেন্স (এভিয়েশন)। 

জাপানে যেতে হলে জাপানি ভাষা জানতে হবে। এজন্য জাপানি ভাষার এন ফোর লেভেল পর্যন্ত জানতে হবে। জাপানি ভাষায় এন ফাইভ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়। এর পরের ধাপ হচ্ছে এন ফোর লেভেল। অর্থাৎ জাপানি ভাষায় বলতে, লিখতে ও পড়তে জানতে হবে। 

জাপানে যেতে হলে জাপানি ভাষা জানার সর্বনিম্ন স্ট্যান্ডার্ড এটি। এর পরে এন থ্রি বা এন টু জানলে সেটাকে অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে ধরা হবে। এছাড়া জাপানে যাওয়ার পরও নিয়মিত ভাষার বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকবে। 

জাপান সরকারের সাথে হওয়া নতুন জনশক্তি রপ্তানি চুক্তির আওতায় এরইমধ্যে ১১টি সংস্থাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন মি.আলম। 

এর মধ্যে অন্যতম এজেন্সি হচ্ছে গ্লোবাল রিক্রুটিং এজেন্সি ।আর ল্যাঙ্গুয়েজ পার্টনার হিসেবে আছে ড্যাফোডিল জাপান আইটি । 

পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দেশ গুলো শিক্ষা কার্যক্রম ও কর্মস্থান ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ঘোষনা করেছেন সকল শিক্ষাপ্রতিস্থান খুলে দিবেন পরিস্থিতি স্থিতিশিল হলে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে, চলছে অফিস কার্যক্রম ,অনলাইন ক্লাস,স্টুডেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কভিসা প্রসেসিং,স্কুল ইন্টারভিউ ইত্যাদি। 

এখন শুধুই অপেক্ষা কবে ইমিগ্রেশন খুলবে । জাপানি ভিসা পেতে অনেকেই দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করছে। খুব শীঘ্রই খুলে দিবে ইমিগ্রেশন । যারা COE পেয়েছেন , ভিসার জন্য দাঁড়াতে পারবেন । ভাষা জানা থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারবেন। সামনে এপ্রিল ও জুলাই সেশন , এখনই সময় নিজেকে প্রস্তুত করা । 

ভাষা শেখা ও আবেদনের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ড্যাফোডিল জাপান আইটি'র অফিসে । 

ড্যাফোডিল জাপান আইটি

যোগাযোগঃ ইউনিয়ন হাইটস ০১, লেভেল ৮, ৫৫-২, ওয়েস্ট পান্থপথ, ঢাকা. 

ফোনঃ ০২-৯১১২২৮০, ০১৮৪৭১৪০১১০,০১৮৪৭১৪০১০৫,০১৭১৩৪৯৩২৭৮ 

1 comment: