সফলতার গল্প : (পর্ব - ১)
ইকবাল হোসেন শাকিল, ২০১৭ সালে জাপানে অবস্থিত তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে জাপান সম্পর্কে জানতে
পারেন । MBA তে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি বিদেশে পড়াশুনা করতে আগ্রহী ছিলেন । তিনি যখন দেখলেন চারপাশে সিনিয়র বন্ধমহল , যারা
পাশ করে বের হয়েছে ,কিন্তু চাকুরী খুঁজে পাচ্ছে না ,ঠিক তখন তিনি ২০১৮ সালে জাপানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেন এবং খোঁজ পান ড্যাফোডিল জাপান আইটির। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে সরাসরি উপস্থিত হন ড্যাফোডিল জাপান আইটির সেমিনারে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করলেও ড্যাফোডিল জাপান আইটির তথ্য ও কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ভর্তি হয়ে যান ড্যাফোডিল জাপান আইটির ৬৬ তম ব্যাচে ২০১৮ এর নভেম্বরে।
শাকিল জানান, ড্যাফোডিল জাপান আইটি শুধু মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয় বরং তার কাছে একটি পরিবারের মত। সকল শিক্ষক, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং টিম ও ডকুমেন্টস টিমের পরামর্শে এবং সহযোগিতায় তিনি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হন। নিয়মিত ক্লাসের বাইরে , তিনি অতিরিক্ত অনুশীলন করা,
শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও মক টেস্টের মাধ্যমে জাপানিজ ভাষায় নিজেকে আরও দক্ষ
করে তুলেন।
তিনি আরো জানান সার্ভিস চার্জের ব্যাপারেও ড্যাফোডিল জাপান আইটি ছিল স্বচ্ছ। বর্তমানে তিনি হিরোশিমাতে অবস্থান করছেন এবং হিরোশিমার সব থেকে নামকরা প্রতিষ্ঠান হিরোশিমা ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস কলেজে সেনমন কোর্সে অধ্যায়নরত রয়েছেন, পাশাপাশি পেয়েছেন পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ। ল্যাঙ্গুয়েজে কোর্স N3 ও তিনি এখন থেকে সম্পন্ন করেছেন। খুব শীঘ্রই তিনি N2 সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন শাকিল ভবিষ্যতে একজন সফল ওয়েডিং প্ল্যানার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান ।
ড্যাফোডিল জাপান আইটির ছাত্র হিসেবে ইকবাল হোসেন শাকিল ছিলেন খুবই মনোযোগী এবং আন্তরিক, বলা যায় ভালো ছাত্রদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম । শুধু ভাষা শিক্ষা নয়, সকল ডকুমেন্টস জমা দেয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সচেতন। ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে তার আগ্রহ এবং ডকুমেন্টসের ব্যাপারে সচেতনতা তাকে তার লক্ষে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে । শুধু মাত্র একজন শিক্ষর্থী নয়, ড্যাফোডিল জাপান আইটি পরিবারের একজন এলামনাই হিসেবে তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত।
ড্যাফোডিল জাপান আইটির পক্ষ থেকে ইকবাল হোসেন শাকিলের জন্য রইলো শুভকামনা ।
No comments:
Post a Comment