সাদিয়া :
সরাসরি শ্রেনীকক্ষে উপস্থিত থেকে ক্লাস করার চেয়ে অনলাইন লার্নিং সত্যই ভাল কিনা তা দীর্ঘদিনের বিতর্কিত প্রশ্ন । সর্বত্র মহামারী সরিয়ে পড়ার ফলে উন্নত প্রযুক্তির সুবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অনলাইন শিক্ষা সরাসরি শিক্ষার বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনলাইন শিক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য হলো, একজন শিক্ষার্থী যেই কাজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে করতো এখন সেগুলো বিভিন্ন মডিউল, ভিডিও কনফারেন্স ক্লাস বা ভার্চুয়াল প্রশ্নোত্তর সেশনের এর মাধ্যমে করতে পারছে, ই-মেইলের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারছে, এমনকি পেয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী ক্লাস রেকর্ডিং যা পরবর্তীতে একজন শিক্ষর্থীর অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করতে পারছে। সরাসরি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শেখার চেয়ে অনলাইনে শেখার আরো বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে l একজন শিক্ষার্থী যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এমনকি ভ্রমণকালে কিংবা চলতে চলতে দেখতে পারবেন ক্লাস প্রভাষকের পাঠদান।
অনলাইনে শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে স্ব-শৃঙ্খলা এবং স্ব-অনুপ্রেরণার আরো উন্নত করে। যতদ্রুত একজন শিক্ষার্থী নিজেকে প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিয়ে এগুলো শিখবে এবং নিজের বিকাশ করবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় সে ততবেশি ভালো করতে পারবে।
বর্তমান বিশ্বে নিজেকে মানিয়ে চলতে হলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে আরো উন্নত করতে হবে কারণ এখন ঘরে বসেই যেকোনো শিক্ষার্থী যেকোনো দেশের কোর্স শিখতে পারবে খুব সহজেই । অনলাইনে শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী যেমন তার সময় বাঁচবে তেমন সাশ্রয় হবে অর্থ । অনলাইনে ক্লাস কেবল মাত্র সাশ্রয়ী নয় বরং সরাসরি ক্লাসে যাওয়া কিংবা কয়েক হাজার মাইল দূরে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার জন্য আর মূল্যবান সময় ব্যয় করতে হবে না।
অনলাইনে শেখার আরেকটি সুবিধা হলো বেশিরভাগ কোর্স একটি নির্দিষ্ট সময় সীমার হয়ে থাকে সুতরাং একজন শিক্ষার্থী চাইলে দ্রুত অথবা নির্দিষ্ট সময়ে একটি অনলাইনে কোর্স সম্পন্ন করতে পারবে।
প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা। সরাসরি ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার দক্ষতা কম থাকে আবার কারোর পক্ষে হয়ে পরে কঠিন সুতরাং অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের মতো করে পড়া শিখে নিতে পারে।
আমরা সকলেই জানি বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সরাসরি ক্লাসের বদলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে অনলাইনে ক্লাস দ্বারা। বিদেশে বিশেষ করে জাপানে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস হতে পারে এক সুবর্ণ সুযোগ।
জাপানিজ, ১২৮ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে বিশ্বে ষষ্ঠ বহুল ব্যবহৃত পূর্ব এশীয় ভাষা জাপানের নিহঙ্গো নামে পরিচিত এবং হাজার হাজার লোক তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বাড়াতে বা জাপানি সংস্কৃতি বোঝার জন্য জাপানি ভাষা শিখছে।
জাপানি শেখার প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনি জাপান সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের জিনিস শিখবেন। আপনি দেশের ইতিহাস এবং এক অঞ্চল এবং অন্য অঞ্চলের মধ্যে উপভাষার পার্থক্য শিখতে পারবেন। আপনি জাপানি রীতিনীতি এবং সংস্কৃতিতে নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করতে শিখবেন।
ড্যাফোডিল জাপান আইটি শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষা শেখার পাশাপাশি স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এখানে ভাষা শিক্ষার জন্য রয়েছেন দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী তাছাড়া একজন শিক্ষার্থী চাইলে জাপানি ভাষা শিখতে পারবে jElearning অ্যাপের মাধ্যমে যেখানে রয়েছে ১৬টি ভাষায় জাপানিজ শেখার সুবর্ণ সুযোগ। অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী চাইলে jElearning অ্যাপের মাধ্যমে শিখতে পারবেন জাপানিজ ভাষা খুবই অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ।
No comments:
Post a Comment